বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ : আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী), বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদ বিএনপি’র হাতে নিরাপদ নয়। বিএনপিই ক্ষমতায় বসার জন্য বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে আছে আর বাংলাদেশ আওামীলীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে জনগণ, তাই বিএনপি-জামাতের এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা দলীয় নেতাকর্মীদের দায়িত্ববোধ থেকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবেএগিয়ে আসতে হবে ।
আজ ৩০ (আগষ্ট) বুধবার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে বাটাজোর অশ্বিনী কুমার ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনেজাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আ. রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বরিশাল জেলা মহিলা আওামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন্নাহার মেরী, গৌরনদী উপজেলা আওামীলীগ সভাপতি এইচ.এম জনাল আবেদীন, গৌরনদী উপজেলা আওামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, সহ বাটাজোর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদেও সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেন, স্বাধীরতা বিরোধী ঐ বিএনপি জামাত জোট মুখে যাই বলুক, মূলত শেখ হাসিনা যখন পাকিস্তানকে পিছে ফেলে দিয়ে সব সূচকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যখন সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তখনই তাদের গাত্রদাহ হয়। এ পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের এটা সহ্য হয় না। সেই গাত্রদাহ থেকেই তারা শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। তাই এ দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রকামী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব- এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।
নেতা-কর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি আরো বলেন, সকল মতানৈক্য ও ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আগামী নির্বাচনে নৌকামার্কা ভোটদিয়ে বিপুল ভোটেবিজয়ী করতে হবে। কারণ, স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার ক্ষমতায় গেলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবার পাশাপাশি দেশে সন্ত্রাস,বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হবে। ওরা আবার ২০০১সালের মতো আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করবে। এই এলাকার ৫০ হাজার নেতা-কর্মীকে নির্যাতন করে রামশীল পাঠাবে। বাড়ির গাছ, ঘের-পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু লুট করে নিয়ে যাবে। যারা দেশের বিরুদ্ধে ১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানী করে তাদের নির্বাচিত করলে সাধারণ মানুষ শান্তিতে ঘরে ঘুমাতে পারবে না।